এ ট্রিবিউট টু দা ক্লাসিকাল " 3 Idiots " - প্রিয় সিনেমা নিয়ে কিছু কথা
" 3 Idiots "
অভিনয় : আমির খান ,আর মাধাবান ,শারমান জোশি ,ওমি ভাইদা ,কারিনা
কাপুর খান ,বোমান ইরানি প্রমুখ
পরিচালক: রাজকুমার হিরানী
গল্প : রাজকুমার হিরানী এবং অভিজাত জোশি [এডাপ্টেড ফ্রম চেতন ভগত 'Five Point Someone' ]
চিত্রনাট্য এবং সংলাপ : রাজু হিরানী ,অভিজাত জোশি ,বিদু বিনোদ চোপড়া
মিউজিক : শান্তনু মৈত্রা
রিলেজ : ২৫ শে ডিসেম্বর ২০০৯
গল্প : রাজকুমার হিরানী এবং অভিজাত জোশি [এডাপ্টেড ফ্রম চেতন ভগত 'Five Point Someone' ]
চিত্রনাট্য এবং সংলাপ : রাজু হিরানী ,অভিজাত জোশি ,বিদু বিনোদ চোপড়া
মিউজিক : শান্তনু মৈত্রা
রিলেজ : ২৫ শে ডিসেম্বর ২০০৯
মুভিতো
আমরা অনেক দেখি কিন্তু কয়টি মুভি আমাদের মনের পাতায় অমর হয়ে গেথে থাকে
,কয়টি মুভি আমাদের জীবনের পথচলায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুপ্রেরনা জোগায় ?হাতে
গোনা কয়েকটা । কিছু মুভি দেখে হয়তো আমরা বলি শীট এটা কেনো দেখলাম ,আজাইরা
টাইম নষ্ট আবার কিছু মুভি দেখে শুধু মুখ থেকে একটা শব্দ বের হয় "ওয়াও হোয়াট
এ মুভি " ।কিন্তু এমন খুব অল্প মুভি আছে যেগুলো দেখে আমরা হারিয়ে যাই অন্য
এক জগতে,বদলে যায় মন-মানুসিকতা ,নিজের ভিতর জেগে উটে এক অন্য আমি ।মনে
হয় যেনো আমার মধ্যে ক্যারেক্টার গুলো ঢুকে গিয়েছে ।" থ্রী ইডিওটস " ও ঠিক
এমন একটি মুভি ,যে মুভি দেখার পর আমি এক ঘন্টা জাস্ট স্তম্বিত হয়ে
গিয়েছিলাম আর ভাবছিলাম আমি লাইফে কি করছি ? আমার মধ্যে থাকা রেঞ্চো কে কেনো
জাগিয়ে তুলছিনা ? আমরা সাধারনত মুভি দেখতাম বিনোদনের জন্য কিন্তু যে মুভি
বিনোদনের সমাজের সমস্যা গুলো তুলে ধরে , জীবন নিয়ে এত চমতকার সব মেসেজ দেয়
সেটি সিম্পল কোনো সিনেমা হতে পারে না ।যে সিনেমা দেখে হাজার হাজার মানুষের
চিন্তা ভাবনা বদলে গিয়েছিলো ,যে সিনেমা জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলার
ফর্মুলা শিখিয়েছিলো আজ সেই সিনেমা নিয়ে কিছু লিখতে চাই ।
'র্যাঞ্চোরদাশ শ্যামলদাস চাঞ্চার'-ছোট করে রেঞ্চো , আমাদের কারো কাছে তাদের স্বপ্নের চরিত্র ,কারো
কাছে তাদের ইন্সপিরিশন আবার কারো কাছে তাদের আইডল । ২০০৯ সালের
ক্রিসমাসে রিলেজ হওয়া এই ছবি বদলে দিয়েছিলো কোটি কোটি তরুন ছেলে -মেয়ের
চিন্তাভাবনা ,আঙ্ঘুল তুলেছিলো সমাজের নোংরা এডুকেশন সিস্টেমের উপর এবং
জাগিয়েছিলো এক নতুন সম্ভাবনার ।ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এ পি যে আব্দুল
কালাম একটি কথা বলেছিলেন যে" Youth Is Not Useless ,They Are Usedless " ।
রাজু হিরানী এই কথা টি আরো একবার প্রমান করলেন এই মুভিটির মাধ্যমে ,তিনি
আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিলেন যে তাদের সিস্টেম প্রতিনিয়ত কিভাবে হাজার হাজার
সম্ভাবনাকে অকালে হত্যা করছে ।ভারত তথা আমাদের বাংলাদেশে ও প্রতিবছর গড়ে দশ
হাজার মানুষ সুইসাইড করছে তারমধ্যে ৭০% ই শিক্ষার্থী যার ফলে অকালে ঝরে
যাচ্ছে হাজার হাজার সম্ভাবনা । এই ধরনের এডুকেশনাল সকল সমস্যা কে পিওর
এন্টারটেইনমেন্ট এর মাধ্যমে উপস্থাপন করে তার সুন্দর সলুশন দিয়ে এক অসাধারন
মাস্টারপিস তৈরী করেন রাজু হিরানী স্যার । এটি তখন থেকেই ইয়ুথ দের মধ্যে
এক ইন্সপিরিশন হিসেবে জায়গা করে নেয়
।
How This Project Started: ২০০৪ সালে একজন নতুন লেখক একটি বই বের হয় যার নাম "
Five Point Someone " ,লেখকের নাম চেতন ভগত । বইটি বাজারে আসার সাথে সাথেই চারিদিকে প্রশংসার বন্যা শুরু হয় ।বইটি সেই সময় রেকর্ড পরিমান ১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় ।চেতন ভগত রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উটেন ।কয়েকবছর পর চেতন এই বইটি রাজু হিরানি কে দেন পড়ার জন্য ।বইটি পড়ে হিরানী সাহেবের পছন্দ হয়ে গেলো ,তিনি এটা নিয়ে সিনেমা বানাতে চান । কিন্তু তিনি স্টোরি টা কিছু বদলাতে চান এবং স্ক্রিনপ্লে টা তার মতো করে লিখতে চান। চেতন সাহেব ও রাজি হলেন ।ব্যাস এভাবেই থ্রী ইডিওটস শুরু ।ধীরে ধীরে এর স্ক্রিনপ্লে ও পোস্ট প্রডাকশন এর কাজ শুরু হয়ে গেলো ।কাস্টিং ,লোকেশন সবকিছু ফাইনাল করে ক্যাপ্টেন রাজু হিরানী তার টিম নিয়ে শুরু আরম্ভ করলেন এই কালজয়ী সিনেমার কাজ ,সাথে ছিলেন মিঃ পারফেকশনিষ্ট আমির খান ।
About This Movie : মুভির স্টোরি সম্পর্কে কিছু বলে আপনাদের সময় নষ্ট করতে চাই না কারন এই যুগের এমন কোনো ছেলে মেয়ে হয়তো নাই যারা এটি দেখে নাই । তিন বন্ধুর ভার্সিটি লাইফ , এক রুমে থাকা , দুষ্টামি করা ,সিস্টেম এর বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা ,ডিনের মেয়ের সাথে প্রেম করা , হালকা টুইস্ট ,হারিয়ে যাওয়া ফ্রেন্ডকে খুজে বের করা অতঃপর সুন্দর মেসেজ এর সাথে ছবিটি শেষ করা ।মুভিতে এক সেকেন্ড বোরিং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই ।এন্টারটেইনমেন্ট এর এক ফুটা কমতি ছিলো না ।প্রতিটা সিন ম্যাজিকাল ছিলো ।ছবিতে দেশের সমস্যা গুলোকে অত্যান্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সাথে সমাধানগুলো ও অনেক রসিকতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে ।ফার্স্ট টু লাস্ট পর্দা থেকে আপনি এক মিনিটের জন্য চোখ সরাতে পারবেন না ।এটি আপনাকে হাসাবে ,কাদাবে ,শেখাবে ,অনেক কিছু উপলদ্ধি করাবে ।ইয়ুথদের সাথে এতটা সুন্দর করে কানেক্টেড এই মুভি যে প্রতিটা ভার্সিটি পড়ুয়া স্টুডেন্ট তাদের মধ্যে থাকা রেঞ্চো কে আবিষ্কার করবে ।সেই ভার্সিটির হল্রুম ,সিনিয়রদের র্যাগিং, ক্লাসে টিচারের লেকচার ,ডিনের অত্যাচার ,বন্ধুদের সাথে প্রিয় মুহুর্ত ,ফেমিলির প্রেসার ,পরিক্ষার পেরা ,অতঃপর নতুন কিছু করার চেষ্টা -এইসব কিছু দর্শকদের নিয়ে যাবে তাদের ভার্সিটি লাইফের সোনালি অতীতের দিনগুলিতে ।এত সব সাবজেক্ট গুলো একসাথে পর্দায় উপস্থাপনের যে মুন্সিয়ানা হিরানী সাহেব দেখিয়েছেন তা নিতান্তই প্রশংসার দাবিদার ।
এবার আসি অভিনেতাদের অভিনয় এর দিকে , এক্টিং এর দিক দিয়ে এই মুভিতে সবাই সাবার সেরাটা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলো ।আর দিবেই বা না কেনো পরিচালক যে রাজকুমার হিরানি ,কিভাবে অভিনেতাদের সেরাটা বের করে নিতে হয় উনি ভালো করেই জানেন । আমির খান , আর মাধাবান , শারমান জোশি,কারিনা কাপুর সবাই নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন ।এই বয়সে এসে এক ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলের চরিত্রে আমির খান অসাধারন ছিলেন ।তার এক্টিং, লুক ,কথা বলার ধরন ,চলাফেরা সবকিছু ছিলো দুর্দান্ত ,কেনো তাকে মিঃ পারফেকশনিষ্ট বলা হয় তা এই ছবি দিয়ে আরেকবার প্রমান করে দিলেন ।স্পেশালি যে দুইজন এর কথা বলতে হয় তারা হলেন বোমান ইরানি এবং ওমি । ভাইরাস চরিত্রে বোমান সাহেব নিজের ক্যারিয়ার এর সেরা কাজটাই করেছেন এই ছবিতে ।তার লুক ,বাচন ভঙ্গি ,ডায়লগ ডেলিভারি সবকিছু দারুন ছিলো ।আরেকজন হলেন ওমি ভাইদা ওরফে সাইলেন্সার ।তার সেই হাসি আর ডায়লগ ডেলিভারি এখনো মনে হলে একা একা হাসি ।সবার সামনে ওর বক্তব্য দেওয়ার সিন টা বলিউড এর অন্যতম সেরা কমেডি সিন হয়ে থাকবে ।
How This Project Started: ২০০৪ সালে একজন নতুন লেখক একটি বই বের হয় যার নাম "
Five Point Someone " ,লেখকের নাম চেতন ভগত । বইটি বাজারে আসার সাথে সাথেই চারিদিকে প্রশংসার বন্যা শুরু হয় ।বইটি সেই সময় রেকর্ড পরিমান ১ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয় ।চেতন ভগত রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উটেন ।কয়েকবছর পর চেতন এই বইটি রাজু হিরানি কে দেন পড়ার জন্য ।বইটি পড়ে হিরানী সাহেবের পছন্দ হয়ে গেলো ,তিনি এটা নিয়ে সিনেমা বানাতে চান । কিন্তু তিনি স্টোরি টা কিছু বদলাতে চান এবং স্ক্রিনপ্লে টা তার মতো করে লিখতে চান। চেতন সাহেব ও রাজি হলেন ।ব্যাস এভাবেই থ্রী ইডিওটস শুরু ।ধীরে ধীরে এর স্ক্রিনপ্লে ও পোস্ট প্রডাকশন এর কাজ শুরু হয়ে গেলো ।কাস্টিং ,লোকেশন সবকিছু ফাইনাল করে ক্যাপ্টেন রাজু হিরানী তার টিম নিয়ে শুরু আরম্ভ করলেন এই কালজয়ী সিনেমার কাজ ,সাথে ছিলেন মিঃ পারফেকশনিষ্ট আমির খান ।
About This Movie : মুভির স্টোরি সম্পর্কে কিছু বলে আপনাদের সময় নষ্ট করতে চাই না কারন এই যুগের এমন কোনো ছেলে মেয়ে হয়তো নাই যারা এটি দেখে নাই । তিন বন্ধুর ভার্সিটি লাইফ , এক রুমে থাকা , দুষ্টামি করা ,সিস্টেম এর বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা ,ডিনের মেয়ের সাথে প্রেম করা , হালকা টুইস্ট ,হারিয়ে যাওয়া ফ্রেন্ডকে খুজে বের করা অতঃপর সুন্দর মেসেজ এর সাথে ছবিটি শেষ করা ।মুভিতে এক সেকেন্ড বোরিং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই ।এন্টারটেইনমেন্ট এর এক ফুটা কমতি ছিলো না ।প্রতিটা সিন ম্যাজিকাল ছিলো ।ছবিতে দেশের সমস্যা গুলোকে অত্যান্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে সাথে সমাধানগুলো ও অনেক রসিকতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে ।ফার্স্ট টু লাস্ট পর্দা থেকে আপনি এক মিনিটের জন্য চোখ সরাতে পারবেন না ।এটি আপনাকে হাসাবে ,কাদাবে ,শেখাবে ,অনেক কিছু উপলদ্ধি করাবে ।ইয়ুথদের সাথে এতটা সুন্দর করে কানেক্টেড এই মুভি যে প্রতিটা ভার্সিটি পড়ুয়া স্টুডেন্ট তাদের মধ্যে থাকা রেঞ্চো কে আবিষ্কার করবে ।সেই ভার্সিটির হল্রুম ,সিনিয়রদের র্যাগিং, ক্লাসে টিচারের লেকচার ,ডিনের অত্যাচার ,বন্ধুদের সাথে প্রিয় মুহুর্ত ,ফেমিলির প্রেসার ,পরিক্ষার পেরা ,অতঃপর নতুন কিছু করার চেষ্টা -এইসব কিছু দর্শকদের নিয়ে যাবে তাদের ভার্সিটি লাইফের সোনালি অতীতের দিনগুলিতে ।এত সব সাবজেক্ট গুলো একসাথে পর্দায় উপস্থাপনের যে মুন্সিয়ানা হিরানী সাহেব দেখিয়েছেন তা নিতান্তই প্রশংসার দাবিদার ।
এবার আসি অভিনেতাদের অভিনয় এর দিকে , এক্টিং এর দিক দিয়ে এই মুভিতে সবাই সাবার সেরাটা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলো ।আর দিবেই বা না কেনো পরিচালক যে রাজকুমার হিরানি ,কিভাবে অভিনেতাদের সেরাটা বের করে নিতে হয় উনি ভালো করেই জানেন । আমির খান , আর মাধাবান , শারমান জোশি,কারিনা কাপুর সবাই নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন ।এই বয়সে এসে এক ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলের চরিত্রে আমির খান অসাধারন ছিলেন ।তার এক্টিং, লুক ,কথা বলার ধরন ,চলাফেরা সবকিছু ছিলো দুর্দান্ত ,কেনো তাকে মিঃ পারফেকশনিষ্ট বলা হয় তা এই ছবি দিয়ে আরেকবার প্রমান করে দিলেন ।স্পেশালি যে দুইজন এর কথা বলতে হয় তারা হলেন বোমান ইরানি এবং ওমি । ভাইরাস চরিত্রে বোমান সাহেব নিজের ক্যারিয়ার এর সেরা কাজটাই করেছেন এই ছবিতে ।তার লুক ,বাচন ভঙ্গি ,ডায়লগ ডেলিভারি সবকিছু দারুন ছিলো ।আরেকজন হলেন ওমি ভাইদা ওরফে সাইলেন্সার ।তার সেই হাসি আর ডায়লগ ডেলিভারি এখনো মনে হলে একা একা হাসি ।সবার সামনে ওর বক্তব্য দেওয়ার সিন টা বলিউড এর অন্যতম সেরা কমেডি সিন হয়ে থাকবে ।
এই ছবির সিনেমাট্রোগ্রাফি আর ক্যামেরার কাজ এতটাই সুন্দর
ছিলো যে , এই ছবি দেখার পর আপনি ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পরতে পারেন । Behti
Hawa Sa Tha Woh গানের সিন গুলো চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো ছিলো ।লাদাখ ,শিমলার নজরকাড়া দৃশ্য আপনাকে প্রেমে পড়াতে বাধ্য করবেই ।
মিউজিক ছিলেন বাঙ্গালী শান্তুনু মৈত্রা ।গানগুলো অসাধারন ছিলো ।একটি মুভির এলবামে কতটা ডিফারেন্ট ধরনের গান থাকতে পারে তা এই মুভির সাউন্ডট্রাক দেখলে বুঝা যায় ।ইন্সপিরিশনাল গান 'Give Me Some Sunshine ,All Iz Well ' ,রোমান্টিক নাম্বার "Zoobi Doobi" ,ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে "Jaane Nahin Denge Tujhe" "Behti Hawa Sa Tha Woh" অল ইন অয়ান প্যাকেজ ।এখনো আমাদের প্লেলিস্টে এই গান গুলো আছে এবং থাকবে ।এরকম গভীর লিরিক্সের ,মেলোডিয়াস সং বলিউডে খুব কম ই আছে স্পেশালি 'Give Me Some Sunshine এবং Behti Hawa Sa Tha Woh ।
এই মুভির চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন রাজু হিরানী ,অভিজাত জোশি এবং বিধু বিনোদ চোপড়া ।অসাধারন লিখেছেন ,ডায়লগ গুলো দর্শক আজীবন মনে রাখবে ।প্রতিটা সিন যেমন ছিলো মজার তেমনি ইন্সপিরিশনাল ।এখন ও সবার মুখে শোনা যায় " AlL izz Well ... All Izz Well , Bachcha Kabil Bano, Kabil ...Kamyabi Toh Saali Jhak Maarke Peeche Bhagegi "
এই মুভির এডিটিং ,ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ,ভি এফ এক্স সবকিছুই ছিলো চমতকার ।
Unkown Fact About This Movie : এই মুভির রেঞ্চো ক্যরেক্টার এর জন্য প্রথমে প্রস্তাব করা হয়েছিলো শাহরুখ খান কে ,কিন্তু কিছু সমস্যার কারনে তিনি ছবিটা করতে পারেন নি ।ছবিতে 'ফুনসুক ওয়াংডু' নামে আমিরের যে চরিত্র টি দেখানো হয়েছে সেটা একটি বাস্তব চরিত্র থেকে ইন্সপায়ার্ড । সোনাম ওয়াংচুক নামে লাদাখের এক শিক্ষক কাম বিজ্ঞানীর চরিত্র থেকে এটি নেওয়া হয়েছে ।ছবিটির শেষের দিকে যে স্কুল দেখানো হয়েছে তা ও সোনাম ওয়াংচুক এর ই স্কুল । মজার ব্যাপার হলো বাস্তবে এই স্কুল এ ভর্তি হতে হলে আপনাকে অবশ্যই মেট্রিক ফেইল হতে হবে ,এবং ভারতের এডকেশন সিস্টেমের সাথে এবং পাঠ্যবইয়ের সাথে এ স্কুলের কোনো সম্পর্ক নেই ,এখানে সবকিছু হাতে কলমে শেখানো হয় ।ছবিতে ICE নামে যে কলেজ দেখানো হয়েছে সেটি বাস্তবে ব্যাঙ্ঘালোরের একটি কলেজ ।শুটিং এর জন্য আমির সহ ছবির পুরো ইউনিট এক মাস ওই কলেজের ছাত্রদের সাথে হোস্টেলে থেকেছেন ।একটি ইন্টারভিউ এ রাজু হিরানী বলেছেন এটা ছিলো আমিরের আইডিয়া ।আমির বলেছিলেন তিনি সেখানকার হোস্টেলে ছাত্রদের সাথে একসাথে থাকলে চরিত্রে আরো বেশি নিখুত এবং কানেক্টেড থাকতে পারবেন ।
Success: ছবি মুক্তির আগেরদিন ও হয়তো কেউ আন্দাজ করতে পারে নি যে এই মুভি ইতিহাস তৈরী করবে ।ছবি মুক্তির পর থেকে চারদিকে প্রশংসার বন্যা বইয়ে যায় । সেইসময় ছোট থেকে বড় ,ক্রটিক্স থেকে ডিস্ট্রিবিউটার সবার প্রশ্নংসায় তুমুল হাইপ সৃষ্টি করে এই ছবি ।রাজু স্যার এই ছবিতে ফ্রেন্ডশীপ ,ভালোবাসা ,কমেডি , ইমোশন আর ইয়ং জেনারেশন দের জন্য অসম্ভব সুন্দর মেসেজ একসাথে পর্দায় উপস্থাপন করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেন ।তার এত সুন্দর স্টোরি প্রজেন্টেশন ছবিটাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় । বক্স অফিসে সব রেকর্ড ভেঙে এক নতুন ইতিহাস তৈরী করে এই ছবি । ৫৫ কোটি বাজেটে তৈরী ছবিটি সেইসময়ে বক্স অফিসে তুফান তুলেছিলো ।বলিউডে র প্রথম ২০০ কোটি উপার্জন করে এই ছবি ,ডোমেস্টিক গ্রোস ২০২ কোটি এবং ওয়াল্ডওয়াইড আয় ৩৯২ কোটির বেশি ।ছবিটি সর্বমোট ৫২ টি এওয়ার্ড জিতে ।ক্রিটিকালি এবং বক্স অফিসে এত বেশি সাকসেস আজ পর্যন্ত কোনো বলিউড মুভি পায় নি ।
এই ছবিটি তামিলে রিমেক হয় এবং চার টি বিদেশি ইন্ডস্ট্রিতে রিমেকের কাজ চলছে । এ বছর ই রিলেজ পাবে মেক্সিকান রিমেক 3 Idiotas , এরপর চায়না ,ইতালি এবং হলিউডে এর রিমেক হতে যাচ্ছে ।
বলিউড যে কয়েকটি মুভি নিয়ে গৌরব করতে পারবে তার মধ্যে উপরের দিকে থাকবে 3 Idiots ।এই টাইপের মুভি বারবার আসে না । কোটি কোটি তরুনের অনুপ্রেরনার নাম 3 Idiots ।মন খারাপ ,পড়াশুনার প্রেসারে ভুগছো ,জীবন ঠিক চলছে নাহ তাহলে দেখো থ্রী ইডিওটস । জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে এই সিনেমার মেসেজ গুলো কাজে লাগবে ।সেই কাজটিকে নিজের পেশা করে নাও যেটি তোমার মন চায় , যে কাজে তোমার ট্যালেন্ট আছে সেই কাজ ই করো । সাকসেস এর পেছনে ছুটো নাহ ,নিজেকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করো সাকসেস এমনিতেই তোমার কাছে চলে আসবে ।চারিদিক থেকে জ্ঞান আহোরন করো ,বইয়ের জ্ঞান আর সার্টিফিকেটের মার্কস এ সবকিছু নয় ।নিজে কতটুকো শিখলে সেটাই আসল কথা ,কাগজে কতটুকো আসলো সেটা নয় । এই কথা গুলো মাথায় নিয়ে এগিয়ে চললে তোমাকে আর কে আটকায় ।
কিছু মুভি হাজার বার দেখলে ও বোরিং লাগে না ,এটি ও তেমন একটি ।যতবার দেখবেন ততবার ই এনার্জি পাবেন ।আমার কাছে আমার বিষন্নতার ঔষুধ থ্রী ইডিওটস ।ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে এই সিনেমা ,প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে এই প্রিয় থ্রী ইডিওটস ।
মিউজিক ছিলেন বাঙ্গালী শান্তুনু মৈত্রা ।গানগুলো অসাধারন ছিলো ।একটি মুভির এলবামে কতটা ডিফারেন্ট ধরনের গান থাকতে পারে তা এই মুভির সাউন্ডট্রাক দেখলে বুঝা যায় ।ইন্সপিরিশনাল গান 'Give Me Some Sunshine ,All Iz Well ' ,রোমান্টিক নাম্বার "Zoobi Doobi" ,ফ্রেন্ডশিপ নিয়ে "Jaane Nahin Denge Tujhe" "Behti Hawa Sa Tha Woh" অল ইন অয়ান প্যাকেজ ।এখনো আমাদের প্লেলিস্টে এই গান গুলো আছে এবং থাকবে ।এরকম গভীর লিরিক্সের ,মেলোডিয়াস সং বলিউডে খুব কম ই আছে স্পেশালি 'Give Me Some Sunshine এবং Behti Hawa Sa Tha Woh ।
এই মুভির চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন রাজু হিরানী ,অভিজাত জোশি এবং বিধু বিনোদ চোপড়া ।অসাধারন লিখেছেন ,ডায়লগ গুলো দর্শক আজীবন মনে রাখবে ।প্রতিটা সিন যেমন ছিলো মজার তেমনি ইন্সপিরিশনাল ।এখন ও সবার মুখে শোনা যায় " AlL izz Well ... All Izz Well , Bachcha Kabil Bano, Kabil ...Kamyabi Toh Saali Jhak Maarke Peeche Bhagegi "
এই মুভির এডিটিং ,ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ,ভি এফ এক্স সবকিছুই ছিলো চমতকার ।
Unkown Fact About This Movie : এই মুভির রেঞ্চো ক্যরেক্টার এর জন্য প্রথমে প্রস্তাব করা হয়েছিলো শাহরুখ খান কে ,কিন্তু কিছু সমস্যার কারনে তিনি ছবিটা করতে পারেন নি ।ছবিতে 'ফুনসুক ওয়াংডু' নামে আমিরের যে চরিত্র টি দেখানো হয়েছে সেটা একটি বাস্তব চরিত্র থেকে ইন্সপায়ার্ড । সোনাম ওয়াংচুক নামে লাদাখের এক শিক্ষক কাম বিজ্ঞানীর চরিত্র থেকে এটি নেওয়া হয়েছে ।ছবিটির শেষের দিকে যে স্কুল দেখানো হয়েছে তা ও সোনাম ওয়াংচুক এর ই স্কুল । মজার ব্যাপার হলো বাস্তবে এই স্কুল এ ভর্তি হতে হলে আপনাকে অবশ্যই মেট্রিক ফেইল হতে হবে ,এবং ভারতের এডকেশন সিস্টেমের সাথে এবং পাঠ্যবইয়ের সাথে এ স্কুলের কোনো সম্পর্ক নেই ,এখানে সবকিছু হাতে কলমে শেখানো হয় ।ছবিতে ICE নামে যে কলেজ দেখানো হয়েছে সেটি বাস্তবে ব্যাঙ্ঘালোরের একটি কলেজ ।শুটিং এর জন্য আমির সহ ছবির পুরো ইউনিট এক মাস ওই কলেজের ছাত্রদের সাথে হোস্টেলে থেকেছেন ।একটি ইন্টারভিউ এ রাজু হিরানী বলেছেন এটা ছিলো আমিরের আইডিয়া ।আমির বলেছিলেন তিনি সেখানকার হোস্টেলে ছাত্রদের সাথে একসাথে থাকলে চরিত্রে আরো বেশি নিখুত এবং কানেক্টেড থাকতে পারবেন ।
Success: ছবি মুক্তির আগেরদিন ও হয়তো কেউ আন্দাজ করতে পারে নি যে এই মুভি ইতিহাস তৈরী করবে ।ছবি মুক্তির পর থেকে চারদিকে প্রশংসার বন্যা বইয়ে যায় । সেইসময় ছোট থেকে বড় ,ক্রটিক্স থেকে ডিস্ট্রিবিউটার সবার প্রশ্নংসায় তুমুল হাইপ সৃষ্টি করে এই ছবি ।রাজু স্যার এই ছবিতে ফ্রেন্ডশীপ ,ভালোবাসা ,কমেডি , ইমোশন আর ইয়ং জেনারেশন দের জন্য অসম্ভব সুন্দর মেসেজ একসাথে পর্দায় উপস্থাপন করে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেন ।তার এত সুন্দর স্টোরি প্রজেন্টেশন ছবিটাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায় । বক্স অফিসে সব রেকর্ড ভেঙে এক নতুন ইতিহাস তৈরী করে এই ছবি । ৫৫ কোটি বাজেটে তৈরী ছবিটি সেইসময়ে বক্স অফিসে তুফান তুলেছিলো ।বলিউডে র প্রথম ২০০ কোটি উপার্জন করে এই ছবি ,ডোমেস্টিক গ্রোস ২০২ কোটি এবং ওয়াল্ডওয়াইড আয় ৩৯২ কোটির বেশি ।ছবিটি সর্বমোট ৫২ টি এওয়ার্ড জিতে ।ক্রিটিকালি এবং বক্স অফিসে এত বেশি সাকসেস আজ পর্যন্ত কোনো বলিউড মুভি পায় নি ।
এই ছবিটি তামিলে রিমেক হয় এবং চার টি বিদেশি ইন্ডস্ট্রিতে রিমেকের কাজ চলছে । এ বছর ই রিলেজ পাবে মেক্সিকান রিমেক 3 Idiotas , এরপর চায়না ,ইতালি এবং হলিউডে এর রিমেক হতে যাচ্ছে ।
বলিউড যে কয়েকটি মুভি নিয়ে গৌরব করতে পারবে তার মধ্যে উপরের দিকে থাকবে 3 Idiots ।এই টাইপের মুভি বারবার আসে না । কোটি কোটি তরুনের অনুপ্রেরনার নাম 3 Idiots ।মন খারাপ ,পড়াশুনার প্রেসারে ভুগছো ,জীবন ঠিক চলছে নাহ তাহলে দেখো থ্রী ইডিওটস । জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে এই সিনেমার মেসেজ গুলো কাজে লাগবে ।সেই কাজটিকে নিজের পেশা করে নাও যেটি তোমার মন চায় , যে কাজে তোমার ট্যালেন্ট আছে সেই কাজ ই করো । সাকসেস এর পেছনে ছুটো নাহ ,নিজেকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করো সাকসেস এমনিতেই তোমার কাছে চলে আসবে ।চারিদিক থেকে জ্ঞান আহোরন করো ,বইয়ের জ্ঞান আর সার্টিফিকেটের মার্কস এ সবকিছু নয় ।নিজে কতটুকো শিখলে সেটাই আসল কথা ,কাগজে কতটুকো আসলো সেটা নয় । এই কথা গুলো মাথায় নিয়ে এগিয়ে চললে তোমাকে আর কে আটকায় ।
কিছু মুভি হাজার বার দেখলে ও বোরিং লাগে না ,এটি ও তেমন একটি ।যতবার দেখবেন ততবার ই এনার্জি পাবেন ।আমার কাছে আমার বিষন্নতার ঔষুধ থ্রী ইডিওটস ।ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে এই সিনেমা ,প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে এই প্রিয় থ্রী ইডিওটস ।

কোন মন্তব্য নেই